সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

তিন উপায়ে বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে নকল প্রসাধনী

 



 তিন উপায়ে বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে নকল কসমেটিকস। বাদ পড়ছে না বিউটি পার্লার, দোকান, ফুটপাত বা অনলাইন। ক্রেতাদের জন্যও আসল-নকল বোঝা দায়। এ অবস্থায় বাধ্য হয়েই এসব নকল প্রসাধনী ব্যবহার করছেন তারা। চিকিৎসকরা বলছেন, এতে স্কিন ক্যান্সার থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যথেষ্ঠ মনিটরিং না থাকার কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবের অজুহাত বিএসটিআইয়ের।

নকল কসমেটিকস তৈরির কারখানা বলা হয় পুরান ঢাকার চকবাজারকে। দোকানগুলোর পণ্যের সমাহার। দেখে বুঝে উপায় নেই যে, এখানেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বের নামী-দামী সব ব্র্যান্ডের পণ্য। বিক্রেতাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তাদের ভাব এমন- যেন নকল পণ্য কি তা তারা জানেনই না। তবে কেউ কেউ স্বীকার করেছেন নকল পণ্য বিক্রির কথা। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অভিযানেও উঠে আসে এসব চিত্র।

অনলাইনে কসমেটিকসের প্রতিষ্ঠানে গিয়েও দেখা যায় একই চিত্র। প্রতিষ্ঠানের গোডাউনে কত রকমের পণ্য আছে তা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাও জানেন না। যেসব পণ্য বিক্রি করছে তার কোনটিরই নেই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন।

সময় সংবাদ মুখোমুখি হয় নকল কসমেটিকস ব্যবসায়ীর। জানান নকল পণ্য উৎপাদনের পরে সরবারহ করা হয় তিনভাবে। কিছু পণ্য কিনে নেয় পার্লার ব্যবসায়ীরা, আবার কিছু পণ্য চলে যায় বিভিন্ন মার্কেটে বা ফুটপাতে, আরেকটি অংশ চলে যায় অনলাইনে।

নকল পণ্যের একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'আমরা তিনভাবে ব্যবসাটা করি। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সোর্স থাকে তাদের হাতে রাখতে প্রতিমাসে আমরা টাকা দিয়ে থাকি। এ কারণে কোনো অভিযান থাকলে তারা আমাদের ইনফর্ম করে দেয়। সে অনুযায়ী আমরা সতর্ক হয়ে যাই।'

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, বেশি মুনাফার আশায়, বিভিন্ন উপায়ে পণ্যগুলো নকল করে বাজারজাত করছে চক্রগুলো।

চিকিৎসকরা বলছেন, এসব নকল বা ভেজাল কসমেটিকস ব্যবহারে স্বল্প মেয়াদের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি সন্তান সম্ভবা মায়েদের অপরিপক্ক সন্তান হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অসহায়ত্ব প্রকাশ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসটিআই বলছে, নিজস্ব মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সাধারণ ক্রেতাদের অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই অভিযান করতে হচ্ছে তাদের। এখনই কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঠেকানো যাবে না নকল পণ্যের উৎপাদন এবং সরবরাহ।


Post a Comment

0 Comments